ভয়েস বার্তা ডেস্ক:
রাত তখন পৌনে বারোটা (১লা জুলাই ২৩ইং) আমাদের বাস গাড়িটি ততক্ষনে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছেছে। রাতের খাবার আর সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বাসে উঠলাম। (ঢাকা-দোহার)মাহমুদপুর ইসলামী সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগ আয়োজিত সেই ভ্রমনে একজনকে প্রধান করে শুরু করলাম আমাদের সিলেট সফর।
গাড়ি চলতে লাগলো তার আপনা গতিতে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের দেশ ও জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে।
রাত যখন ৩টা আমরা পৌছে গেলাম হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার হাইওয়ে ইন রেস্টুরেন্ট লিমিটেড। সেখানে ২০/২৫ মিনিট যাত্রা বিরতীর পর আবারো ছুটলো গাড়ি তার আপন বেগে শা’ শা’ করে ছুটছে আমাদের বাসটি। রাস্তাটি কিছুটা পিচ ঢালাই উচুনিচুর কারনে গাড়িটি বেশ ঝাকি খাচ্ছিল। একবার এদিক আবার ওদিক বারবার দোলা দিচ্ছিল।
যথারিতি একটানা গাড়ি চলার পর ফজরের নামাজের বিরত দেওয়া হলো। শেরপুর মজলিসপুর জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। নামাজের পর আবারো ছুটছে সাদা পাথরের দিকে।
সকাল তখন পৌনে সাতটা পৌছানোর সাথে সাথে শুরু হলো বৃষ্টি সেই বৃষ্টির মধ্যেই সকালের নাস্তা সেরে ট্রলারে করে আমরা পৌছে গেলাম সাদা পাথরের স্থানে। যাওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টির বেগ আরো বেড়ে গেল, তুমুল বেগে চলছে বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর আর সেখানে থাকাটা কষ্ট দায়ক হয়ে যায় বাধ্য হয়ে আবার সেই ট্রলারকে ডাকতে বলা হলো ট্রলার ওপার থেকে আসতে আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় ততক্ষনে সাদা পাথরের স্তুপে খেলা ধুলা করতে থাকে সকলেই কেউবা পাথর কুড়াতে লেগে যায়।
ট্রলার আসার সাথে সাথে সেই স্থান ত্যাগ করি আমরা। আনন্দঘন মুহুর্ত ছিল তখন কিন্তু সেই সাথে কিছুটা কষ্ট নিয়েই ছাড়তে হলো আমাদের। কারন একটু বেশি সময় কাটানোর ইচ্ছা ছিল সকলের বৃষ্টির কারনে সেটি আর হলোনা।
বেলা তখন সোয়া এগারোটা আমরা বাসে উঠে যাত্রা শুরু করলাম জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে পথি মধ্যে হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী র: এর মাজার সামনে দেখে সবাই এই মুহূর্তটাও হাত ছাড়া করলোনা কিছুটা সময় পার করলাম সেখানে যদিও তখন বৃষ্টি হচ্ছিল তুমুল বেগে।
কিছুটা সময় পর আবারো ছুটলাম জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে। বেলা তখন পৌনে চারটা। আমরা এসে পৌছলাম কাঙ্ক্ষিত স্থান জাফলং। জোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার সেরে আমরা রওয়ানা হলাম জাফলংয়ের সেই কাঙ্খিত স্থান ঝড়নার দিকে।
একটা ট্রলারে করে খালের উপারে গেলাম যেয়ে দেখলাম নয়াভিরাম দৃষ্য। পাহারে পানি ঝড়না হয়ে পাহারের পাদদেশে পড়ছে আর সেখানে শত শত মানুষ উপভোগ করছে। আমরা দেরি না করে ছুটে গেলা সেই ঝড়নার নিকটে সেখানে আমাদের টিমের প্রায় সবাই সেই পানিতে গোসল করতে লাগলো এবং উপভোগ করতে লাগলো।
প্রায় ঘন্টা খানেক গোসলের পর আমরা চলে আসলাম আমরা যেখানে গাড়ি রেখেছিলাম সেখানে। আসার পর ড্রেস পরিবর্তন করে আসরের নামাজ আদায় করে কিছু কেনা কাটা করলাম এবং মাগরিব নামাজ পড়ে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এশার নামাজ পরে আবার রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
রাত ৯ টায় আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিল। কয়েক ঘন্টা গাড়ি চলার পর রাত তখন ১টা বাজে, আমরা চলে আসলাম হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পানসি হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে সেখানে কিছুক্ষন যাত্রা বিরতীর পর আবারো ছুটছে আমাদের গাড়ি। ফজরের আযান দেওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের এলাকার নিকট চলে আসলাম এবং ফজরের নামাজ নিজ এলাকাতেই পড়তে পারলাম।