ভয়েস বার্তা ডেস্ক:
অন্তরে খোদাভীতি না থাকলে মানুষের মধ্যে পাপ প্রবণতা তৈরি হয়। তার পক্ষে সব ধরনের অপরাধ করা সহজ হয়ে যায়। দূর্ণীতি, দুঃশাসন, ভোটচুরি, অর্থপাচার রোধকল্পে খোদাভীতির বিকল্প নাই। রমাদান খোদাভীতি অর্জনের মাস। এই মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে মানুষের হেদায়েতের লক্ষ্যে। তাই বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত ও সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। ঐতিহাসিক বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।
আজ রবিবার ৯ এপ্রিল রাজধানীর ফার্স হোটেল এন্ড রিসোর্টসের রিক্রিয়েশন লাউঞ্জে ১৭ই রমাদান “ঐতিহাসিক বদর দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা, বিশিষ্টজন ও মুজাহিদ প্রজন্ম যুবক ভাইদের নিয়ে ইফতার মাহফিল” শীর্ষক অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী রহমাতুল্লাহ বিন হাবিবের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ ইবরাহিম মৃধা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য খোদাভীরু শাসকের বিকল্প নাই। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দি পরেও স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারেনি আপামর জনতা। তাই ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।