ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে দেশ এক চরম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে না। জনগণ তাদের পছন্দের প্রাথীদের প্রতি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ৫১ জন মানুষের মৃত্যু হওয়া অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আজকের তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে জাল ভোট দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। মির্জাপুরের আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাবাকে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বেদড়ক পিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। লক্ষীপুরে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে। মধুপুরে প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারার মত ঘটনা ঘটেছে। কালিয়ায় ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন জায়গায়হাতপাখার প্রার্থীকে মারধর করার ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশ এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যাওয়ার অশুভ ইঙ্গিত বহণ করে। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে। বলা যায় নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নির্বাসনে দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার আজ চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত। এভাবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না।
আজ রোববার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিসয়ষক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।