নানুয়া দীঘের উত্তরপাড় পূজা মন্ডপে প্রকাশ্যে কুরআনে কারিমকে মূর্তির পায়ে রেখে অসম্মান করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে বিক্ষোভ। বেলা যতই বাড়ছে সাধারন মানুষের সমাগম ততই বাড়ছিল। অবশেষে পূজা মন্ডপ এরিয়ার চতুর্দিকে সহস্রাধিক জনতা জড়ো হয়ে যায়৷
এতো কিছুর পর কিভাবে তারা সে স্থানে পুজা করতে চায় জানতে চায় সাধারন লোকজন, শান্ত দেশটিতে কারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় এমন প্রশ্নও অনেকের মনে।
সেখানে থাকা উলামায়ে কেরাম সাধারণ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। পূজা বন্ধ না করে চালিয়ে যাবার কারনে সাধারণ জনতার উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অবশেষে সেখানে পুলিশ গুলাগুলি করে। পুলিশের গুলিতে অনেক সাধারণ জনতা আহত হয়েছে।
কুরআনে কারিমের অপমান করে এতবড় কান্ড ঘটানোর পর ও পূজা মন্ডপের পূজা বন্ধ না করে অন্যদিকে ক্ষোভরত জনতার উপর এই হামলার নিন্দা জানান সাধারন জনগন। আজকে যদি কোনো মাসজিদে নিয়ে মন্দির পোড়া হতো তাহলে সেই মাসজিদ কমিটির ১৪ গুষ্টির জেল হতো। আদৌ সেই মাসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি হতো কিনা সেটা সন্দেহ। এমন কথাও কোন কোন উপস্থিত জনতার মুখ থেকে শুনা গেছে।
ইতি মধ্যে কুমিল্লা জেলার এসপি, ডিসি, পূজা কমিটি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও উলামায়ে কেরাম বৈঠকে বসে। বৈঠকে পূজা কমিটিও এতে সম্মত হয় যে এই ঘটনার কারনে অন্তত এই বছর পূজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কয়েকজন চাচ্ছে পূজা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোন ষড়যন্ত্র কারী রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আমরা দোষীকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি, পুলিশ বিক্ষোভকারী জনতাকে স্থীর থাকতে আহবান জানান।