আর কিছুক্ষণ পরই শুরু হতে যাচ্ছে খুলনার পাঁচ উপজেলায় ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপে খুলনার এই ৩৪টি ইউনিয়নে ৩০৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এখানে মোট ১৫৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়বেন। ৩০৬টি ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৪৮১ জন। সংরক্ষিত আসনে ৪৬৪জন প্রার্থী রয়েছেন। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণা ছিল বিরামহীন। প্রার্থীরা ছুটে যান ভোটারদের নিকট।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। সাথে সাথে তাদের মধ্যে শঙ্কাও বিরাজ করছে। ইউনিয়নগুলোতে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৬ জন ও নারী ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৩ জন।
ক্ষমতাশীন প্রভাবশালীদের দফায় দফায় হামলায় মারপিট ও ভোট পরবর্তী সহিংসতার ভয়ে এজেন্ট খুঁজতে ঘর্মাক্ত অবস্থা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। একের পর এক লিখিত অভিযোগ করেও সুরাহা না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। এভাবে টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলো গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে।
পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, দু-এক জায়গা একটু সমস্যা ছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। তাছাড়া পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত ও শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
অনুরূপভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর চাপের অভিযোগ তুলেছেন বটিয়াঘাটার আমীরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল ইসলাম খান জনি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন।