চলতি মাস থেকেই স্কুল-কলেজে সশরীরে পাঠদান শুরুর পরিকল্পনা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রধান্য দেয়া হবে। শুরুতে এই তিন শ্রেণির জন্য সশরীরে পাঠদান শুরু করতে চায় মন্ত্রণালয়। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণির সশরীরে পাঠদান শুরু করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে। সেখানেই তিনটি পাবলিক পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের চলতি মাস থেকেই সশরীরে পাঠদান শুরুর ঘোষণা আসতে পারে।
সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজ গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সশরীরে পাঠদানের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান করানো যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শ্রেণিকক্ষে তিনটি নির্দেশনা পালন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ সাজাতে হবে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, ৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী বসা এবং ৫ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করা এবং শ্রেণিকক্ষে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে গতকাল রাতে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এক সভায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সাপেক্ষে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়।